কালকিনিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্হদের বাড়ীঘর পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা করেছেন -মেয়র এস এম হানিফ। 

কালকিনি পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্হদের ভাংচুরকৃত বাড়ীঘর পরিদর্শন করেন ও তাদের নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করার আশ্বাস দিয়েছেন নবনির্বাচিত পৌর মেয়র এস এম হানিফ। আজ ১৭ই এপ্রিল শনিবার ক্ষতিগ্রস্হদের ভাংচুরকৃত বাড়ীঘর পরিদর্শন করেন মেয়র এস এম  হানিফ এবং সাথে ছিলেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক  উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ তৌফিকউজ্জামান শাহীন,উপজেলা দপ্তর সম্পাদক মোঃ বেলাল হোসেন, পৌর যুবলীগের সভাপতি  মোঃ জাপান মোল্লা, উপজেলা তাতী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল ফরাজী,পৌর ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ সরদার লিখন,জেলা ছাত্র লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দিন সহ দলীয় অন্যান্য নেতাকর্মীগন।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বিভাগদীতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের বিভাগদী এলাকার সাইদুল হাওলাদার (পরাজিত মেয়র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজ এর সমর্থক হিসাবে পরিচিত) তিনি ঢাকা থেকে নিজ এলাকায় আসলে নৌকার সমর্থক আউয়াল সরদারের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে উভায় পক্ষের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিভাগদী এলাকায় তুমুলসংঘর্ষ শুরু হয়। হামলা -পাল্টাহামলায় উভয় পক্ষের বাড়ীঘর ক্ষতিগ্রস্হ হয়। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন সাইদুল হাওলাদার এবং অন্য পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন আউয়াল সরদার। এ ঘটনার পর পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। একটি মহল উক্ত ঘটনাকে অন্য দিকে নেওয়ার অচেষ্টা চালিয়ে নবনির্বাচিত কালকিনি পৌরসভার মেয়র -এস এম হানিফ এর সম্মান হানি করার পায়তারা করছেন।

এবিষয় জানতে চাওয়া হলে নবনির্বাচিত পৌর মেয়র এস এম হানিফ জানান। দলীয় নেতাকর্মী সংগে নিয়ে আমি ক্ষতিগ্রস্হ ঘরবাড়ি  পরিদর্শন করেছি এবং তাদের আর্থিক সহায়তার ব্যাবস্হা করেছি। দুর্বৃত্তদের চিহ্নত করে আইনের আওতায় আনা হবে ইনশাআল্লাহ। একটি কুচক্রী মহল আমার ও আমার দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য নৌকার উপর মিথ্যা দোষ চাপানোর অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে।

মাদারীপুরের কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় পুলিশের ঘটনাস্থলে যেতে একটু দেরি হয়েছিল। তবে, বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় সব ধরণের আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ ছাড় পাবে না।

উল্লেখ্য যে, গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভা নির্বাচন। এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী প্রচারণা থেকে নিখোঁজ হন মশিউর রহমান সবুজ। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভের নামে তান্ডব চালিয়ে কালকিনি থানা ঘেরাও করে টায়ার জালিয়ে থানার সামনের রোড অবরোধ সহ অনেক গাড়ী ভাংচুর করে সবুজের সমর্থকরা। নিখোঁজের ১৩ ঘণ্টা পরে নিজ বাড়ি কৃষ্ণনগরে ফিরে আসেন তিনি।