মাদারীপুর সদর উপজেলার মাদ্রা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মোঃ মহিউদ্দিন আহম্মেদ (লিটন) আজ ভোর ৫ঃ৩০ মিনিটের সময় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তিকাল করেছেন।ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন তিনি স্ত্রী,এক ছেলে, ও এক মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছন। মৃত্যু কালে মরহুমের বয়স হয়েছিলো ৪৭ বছর। তার মৃৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
উল্লেখ্য যে গত ০৩/০৭/২০২০ ইংরেজি তারিখ রোজ শুক্রবার সকালে তিনি বাসায় স্টোক করলে তাকে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে আনা হয়। শরীরের অবস্থা অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। উক্ত হাসপাতালে নেওয়া হলে তার শরীরের অবস্থা আরো অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ঢাকায় রেফার করেন।এ্যামব্যুলেস যোগে আনুমানিক রাত১১.৩০মিঃ টার দিকে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা ধীন অবস্থায় আজ ভোর ৫ঃ৩০ ঘটিকার সময় ইন্তেকাল করেন।
তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব মাদ্রা গ্রামের মরহুম মাইনউদ্দিন পেশকারের বড় ছেলে। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি প্রথম। মৃত্যু কালে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে এবং স্ত্রী রেখে গেছেন। ছেলে মোঃসাঈদ আহম্মেদ লিমন (১৮) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনস্তাত্ত্বিক বিষয় অনার্স ২ বর্ষের ছাত্র ও মেয়ে মোসাঃ মুসফিকা আহম্মেদ (১২) অষ্টম শ্রেণীর মাদ্রা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং তার স্ত্রী একজন গৃহিণী। তিনি মাদ্রা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ইংরেজি বিষয় শিক্ষকতা করেছেন এবং মৃত্যুর আগ পযর্ন্ত নিষ্ঠাওসততার সহিত উক্ত বিদ্যালয় ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মরহুমের মৃত্যু তে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন মাদ্রা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেএম ওবায়দুর রহমান,ও স্কুলের শিক্ষক ছাত্র – ছাত্রী,কর্মচারীবৃন্দ। এবং বিভিন্ন সামাজিক, সংস্কৃতিক,রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ও সামাজিক সংগঠন মাদ্রা যুবসমাজের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্কমরত কর্পোলার মোঃ আরিফ হোসেন
(bsomoy24.com – বার্তা সময়২৪. কম)কে জানান মহিউদ্দিন আহম্মেদ লিটন স্যার খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন। এক কথায় অসাধারণ তার মত দ্বিতীয় কোন ব্যাক্তি হবে কি না জানি না। আল্লাহ স্যার কে জান্নাতুল ফেরদৌস নছিব করুুুন। উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেএম ওবায়দুর রহমান বলেন ইংরেজি শিক্ষক মোঃ মহিউদ্দিন আহম্মেদ লিটন ভাই ছিলেন একজন সৎচরিত্রবান, আদর্শবান, ও দায়িত্ববান শিক্ষক। তাকে কোন কাজের দায়িত্ব দিলে দ্বিতীয় বার সে কাজ সম্পর্কে বলতে হয় নাই। তার মৃত্যু তে বিদ্যালয়ের এক অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। তাই মহান আল্লাহ তার এই গোলামকে ক্ষমা করে জান্নাতুল ফেরদাউসের মেহমান হিসাবে কবুল করুন।আমিন।।
পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত মরহুমরের ছেলে মোঃ সাঈদ আহম্মেদ লিমন বলেন আমরা আব্বুর লাশ নিয়ে বাড়ীর উদ্দেশ্য যাচ্ছি তবে বাড়ীর মুরুব্বিদের সাথে আলোচনাকরে নামাজে জানাজার সময় ঠিক করব তবে আজ বাদ আসর নামাজের সময় হবে ইনশাল্লাহ। নামাজে জানাহা শেষে মরহুমকে তার নিজ বাড়ীতেই পারিবারিক কবর স্হানে দাফন করা হবে। আপনারা সবাই আমার আব্বুর জন্য দোয়া করবেন সে যেন ওপারে ভালো থাকেন।
আল্লাহ তাঁকে জান্নাতুল জান্নাতুন ফেরদৌস দানকরু। লিটন ছিল ভদ্র,বিনয়ী ও ভালো মনের মানু। তাঁর পরিবারকে আল্লাহ হেফাজতকরু। আমিন।