মাদারীপুরে নিজ উদ্যেগে বিনামূল্যে রোগীদের যাত্রী সেবা দিয়ে চলছেন মোঃ আক্তার হাওলাদার ।
মাদারীপুর জেলাধীন সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের উত্তর বোতলা গ্রামের (মাদ্রা নতুন বাজারের উঃপ্বার্শ)আক্তার হাওলাদার বয়স (৩৬) পেশায় একজন ডিস ক্যাবেলের বেতন ভুক্ত কর্মচারী। এলাকায় তিনি একজন পরোপকারী, জনদরদী, গরীবের বন্ধু হিসেবে বেশ পরিচিত। কারন তিনি ডিস ক্যাবেলের কর্মচারীর পাশাপাশি দীর্ঘ দিন যাবৎ গরীব অসহায় দুস্থ রোগিদের বিনামূল্যে নিজ মোটরসাইকেল যোগে যাত্রী সেবা দিয়ে আসছেন।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,মোঃ আক্তার হাওলাদার দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয় এবং বিবাহিত। তার পিতার নাম আঃ হাকিম হাওলাদার ও মাতার নাম কমেলা বেগম। সংসারে অভাব অনাটনের জন্য লেখাপড়া বেশি করা হয় নাই মাত্র নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পেরেছিলেন। তার পরই দারিদ্র্য সংসারের হাল ধরতে কাজে লেগে পড়েন আক্তার হাওলাদার।কাজের শুরু থেকে তিনি ঢাকায় রংমিস্ত্রির কাজ করেছিলেন। পরে ২০১০ ইং সনে মাদ্রা বাজারে ডিসের অফিসে কাজ শুরু করেন। মুলত তার পরেই অসহায় মানুষের সেবায় এগিয়ে আসেন।
রাতদিন ২৪ ঘন্টার যে কোন সময় তাকে ফোন করলে কিংবা ডাক দিলে ছুটে আসেন রোগীর বাড়ী।এমনকি গভীর রাতে অথবা ঝড়বৃষ্টির সময় ও যখন এলাকায় কোন ভ্যান,রিকশা, অটো সহ যে কোন যানবাহন পাওয়া যায় না ঠিক সেই মূহুর্তে বিনামূল্যে রোগীদের যাত্রী সেবা দিতে হাজির নিজ মোটরসাইকেল সহ গরীবের বন্ধু খ্যাত আক্তার হাওলাদার। শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের রোগী এবংঅসুস্হ গর্ভবতী মায়েদের এলাকা থেকে শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক,এবং ডক্টর চেম্বারে পৌঁছে দেওয়া হয়।
উঃবোতলা গ্রামের বাসিন্দা এনামুল মাতুব্বর বলেন জুন মাসে মহামারি করোনার মধ্যে আমার ১৮ মাসের শিশু সুজন পানিতে পড়ে অসুস্হ হলে আক্তার হাওলাদার বিনা পয়সায় হাসপাতাল পৌঁছে দেন।
কালাইমারা গ্রামের মোতালেব হাওলাদার জানান, আমার স্ত্রী মোসাঃ জোসনা বেগম গর্ভবতী অবস্থায় অসুস্থ হলে আক্তার হাওলাদার কে ফোন করলে সে ছুটে আসেন আমার বাড়ী এবং স্ত্রীকে কোন টাকা পশসা ছাড়া হাসপাতাল পৌঁছেদেন।
আক্তার হাওলাদারের এমন সামাজিক উন্নয়ন মূলক সেচ্ছাসেবী কাজে খুশি এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ জনসাধারণ।
আক্তার হাওলাদার (বার্তাসময়.২৪.কম – bsomoy24.com) কে জানান,আমি গরীব মানুষ আমার সমার্থ অনুযায়ী যাত্রী সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমার মোটরসাইকেল টি অনেক পুরানো ভালোভাবে চলে না এবং বিকট শব্দ হয়। তাই রোগীদের বসতে অনেক কষ্ট হয়, রাস্তার অবস্থা ও বেশী ভালো নয়। যদি কোন সরকারি অনুদানে বা কোন বিত্তশালী ব্যক্তি ভাল একটি মোটরসাইকেল বা অটো ভ্যানের ব্যবস্হা করে দিতেন তাহলে আমি আরোও ভাল ভাবে রোগীদের সেবা দিতে পারতাম।