মাদারীপুর জেলায় আপন আলোয় আলোকিত একজন আইনজীবী এ্যাড. গোলাম কিবরিয়া হাওলাদার।
মাদারীপুর জেলায় এক পরিচিত মুখ। ১৭ মার্চ, ২০০৮ তারিখ হতে আদালত অঙ্গণে তার যাত্রা শুরু। ১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ০২ তারিখ হতে মাদারীপুর লিগাল এইড এসোসিয়েশনে চাকুরীর মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি কাজ করেছেন। এক সময়ে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার গ্রাম পর্যায়ে বিভিন্ন মেয়াদি কর্মশালা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, সচিব, গ্রাম পর্যায়ের সালিসকারী, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আইন, সালিস ও মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতন করেছে। সর্ব সময়ে যুক্তি প্রদান করে আলোচনা করার কারণে যুক্তিবাদী প্রশিক্ষক হিসেবে তিনি সকলের নিকটে পরিচিতি লাভ করে।আইন পেশায় আসার আগে তিনি মাদারীপুর লিগাল এইড এসোসিয়েশনে মাধ্যমে গরীব মানষের পক্ষে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি গ্রাম পর্যায়ে গিয়ে সাধারণ মানুষের দুঃখ কস্ট নিজ চোখে দেখছেন। এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া হাওলাদার মাদারীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদে ০৪ বার নির্বাচিত সদস্য, ০২ বার সহ- সম্পাদক, ০১ বার কোষাধ্যক্ষ এবং ০২ বার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। আইন পেশায় আসার পরেরও তিনি গরীব মানুষের কথা ভুলে যায়নি। আদালত এলাকায় বিচার প্রার্থীর পক্ষে আইনজীবী না থাকলে তিনি অনেক সময়ে নিজের টাকা দিয়া কাগজপত্র কিনে দেয়াসহ বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা দিয়ে থাকেন। কোন মোয়াক্কেল এর নিকট হতে ফি হিসেবে টাকা চেয়ে নিয়েছে এমন প্রমাণ কেই দিতে পারবে না। মোয়াক্কেলরা যা দেয় না দেখে তা রেখে দেন। তিনি এ্যাডভোকেট, মোহরার, কোর্ট স্টাফদের মধ্যে যোগাযোগ মাধ্যমকে ডিজিটাল করার জন্য নিজ খরচে সমস্ত আইনজীবীদের নাম এবং মোবাইল নম্বর, মোহরাদের নাম এবং মোবাইল নম্বর সমন্বিত পুস্তিকা আলাদা আলাদাভাবে নিজ খরচে প্রকাশ করে মাদারীপুরের আদালত এলাকার সংশ্লষ্টদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন। এসব পুস্তিকা আবার মাঝে মধ্যে পুন প্রকাশও করে থাকেন। তিনি দন্ডবিধি পকেটবুক নিজ খরচে প্রকাশ করে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিনামূল্যে দিয়েছেন। এ্যাডভোকেট এবং মোহরার নিজের বা তাদের পরিবারের কারো কোন কস্টের সংবাদ, অসুস্থতা সংবাদ, মৃত্যুর সংবাদ সবার আগে মোবাইলে ম্যাসেজ করে তিনি এ্যাডভোকেট, মোহবার এবং কোর্ট স্টাফদের জানিয়ে তাদের জন্য দোয়া চান। সংশ্লিষ্টদের মৃত্যু বার্ষিকীর তারিখ দু একদিন আগে মোবাইলে ম্যাসেজ করে, ফেসবুকে দিয়ে তাদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন। গূণী এ মানুষটি আসলেই তার প্রাপ্য মর্যাদা পাওয়ার দাবী রাখে।