“গাইবান্ধা-৫ উপনিবার্চন: প্রায়ত ডেপুটি স্পিকারের আসনে উপনিবার্চনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী যারা “
উপনির্বাচনী হাওয়া বইছে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য হয় এই আসনটি। নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে এ আসনটিতে নিবার্চন হবে। উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান ছয়জন। বিএনপি ও জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে দুই দল থেকে দুজন মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশারী হলেন ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলী, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম সেলিম পারভেজ ও যুবলীগ নেতা সুশীল চন্দ্র সরকার।
অপরদিকে, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফারুক আলম সরকার ও সাঘাটা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জুরও তালিকায় আছেন। সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন। এ আসনে আওয়ামী লীগের বিশাল ভোটব্যাংক, দুই উপজেলায় কিছুটা রাজনৈতিক মতনৈক্য থাকলেও যেই দলীয় মনোনয়ন পান তার পক্ষেই সকলেই কাজ করবেন তারা জানান। এ আসনে মুখ্য আলোচ্য বিষয় হলো কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি? প্রয়াত ডেপুটি স্পিকারের ইমেজ ব্যবহারের পাশাপাশি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন তার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলী। তিনি ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি জানান, প্রায় দুই যুগ ধরে তার বাবার সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ওঁৎপ্রোতভাবে কাজ করেছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার সম্মানে তাকেই নৌকা প্রতীক দেবেন। তিনি তার বাবার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে চান। তিনি বলেন, ফুলছড়িতে তার শ্বশুরবাড়ি, সাঘাটায় বাবার বাড়ি। তাই নির্বাচনে তিনি বাড়তি সুবিধা পাবেন।
ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনও আশাবাদী দলীয় মনোনয়ন পাবেন। অন্যদিকে, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ বিশ্বাস করেন দলীয় নেত্রী অবশ্যই সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন এবং যোগ্য প্রার্থীকেই নৌকার মাঝি করবেন। অতীতেও নেত্রী ত্যাগী ও নির্যাতীত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেছেন, এবারো তাই করবেন। তিনি আরো জানান, আমি দীর্ঘ ৩৮ বছর যাবৎ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি। এই দীর্ঘ সময়ে অসংখ্যবার কারাবরণ ও নির্যাতন সহ্য করেছি। তাই বিশ্বাস করি নেত্রী সকল বিষয় বিনোচনা করে আমাকে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করবেন। জিএম সেলিম পারভেজ এর আগেও দুবার দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। আর এবার তিনি দলের মনোনয়ন পাবেন বলে আত্মবিশ্বাসী।
অপরদিকে,দলকে সুসংগঠিত ও জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে দলীয় প্রার্থী হতে চান গাইবান্ধা-৫ আসনের সাঘাটা উপজেলার স্বনামধন্য পীতাম্বর চন্দ্র (মাস্টার) বীর মুক্তিযোদ্ধার সাত সন্তানের সর্ব কনিষ্ঠ সন্তান সুশীল চন্দ্র সরকার(সুশীল কুমার)। তিনি বগুড়া আজিজুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অধ্যরত অবস্থায় জেলা ছাত্রলীগ করেছেন এরপর ১৯৯৭- ২০১৬ সাল পর্যন্ত জেলা যুবলীগ করেছেন।গতবার বহু চেস্টার পরেও আওয়ামীলীগের কমিটিতে যোগদান করতে পারেননি।যদিও তিনি সাঘাটার রাজনীতিতে সক্রিয়, তবুও তাকে বগুড়া জেলা যুবলীগ শহর যুবলীগ শাখার ৬ নং ওয়ার্ডে সম্মান সূচক সহ-সভাপতি হিসাবে রেখেছে।এবার তিনি গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে প্রার্থী হিসাবে আছেন।আগামী যে কমিটি হবে তাতে তিনি ভালো পদ আশা করেন।২০১৮ এর জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন কিনে এবং জমা দিয়ে এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।যেহেতু সুশীল চন্দ্র সরকারের বাবার ছাত্র ছিলেন প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার, তাই তাঁকে সম্মান দেখিয়ে ২০১৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠে তিনি তেমন পদচারণা করেননি। এবার তিনি শতভাগ মনোনিবেশ করেছন এমপি পদে প্রত্যাশী হওয়ার জন্য।তিনি সাঘাটা এবং ফুলছড়ি উপজেলায় রোগী সেবায় সর্বোচ্চ স্থানে আছেন।এর পাশাপাশি তিনি অন্যান্য সেবা সহ, মন্দির,মসজিদের উন্নয়ন প্রকল্পেও বেশ অনুদান দিয়েছেন।তিনি দল,মত,জাতি,ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সহয়তা করেন এবং উপনির্বাচনেও তিনি তিনি দল,মত,জাতি,ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে নির্বাচন করতে চান। তার কথা “দল করবো আওয়ামীলীগ সেবা করবো সবার”।তিনি একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ।গ্রুপিং তিনি পছন্দ করেন না।তাই তিনি গ্রুপিং এর উর্ধ্বে থেকে নেত্রীর পক্ষে থেকে জননেত্রীর হাত আগামীতে আরো শক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।তিনি সব সময় প্রয়াত ডেপুটি স্পিকারের বিরোধিতা না তার পক্ষেই দলকে শক্তিশালী করার একত্ব হয়ে এলাকার সাধারণ জনগণ ও দলীয় লোকের পাশে থেকে সব সময় উনার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ কর্ম চালিয়ে গেছেন।সুশীল চন্দ্র সরকার জানান, তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালী ও জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জীনবমান ও দুই উপজেলার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
বিএনপি নেতা ফারুক আলম সরকার দলীয় প্রার্থী হবেন কি না তা দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এ আসনে জাতীয় পার্টির হয়ে কাজ করেছেন অ্যাডভোকেট এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু। তিনি বলেন, পার্টির সিদ্ধান্ত হলে তিনি নির্বাচনে লড়বেন।