মাদারীপুরে ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন”
‘বঙ্গ বন্ধুর দর্শন সমবায়ের উন্নয়ন’ শ্লোগানকে সামনে রেখে মাদারীপুর জেলা প্রশাসন, সমবায় বিভাগ ও সমবায়ী বৃন্দ মাদারীপুরের আয়োজনে এবং জেলা সমবায় অফিসার ও ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন কমিটি ২০২০ ইং
“মাদারীপুর সদস্য সচিব জনাব মোঃ আলম হোসেনের তত্তাবাধনে।মাদারীপুরে ৪৯ তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে এম এম হাফিজ মেমোরিয়াল পাবলিক লাইব্রেরী সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাদারীপুর জেলা পরিষদের সদস্য ও মাদারীপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের সভাপতি জনাব সৈয়দ আবুল বাসার এর সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ আবৃত্তি কমিটি মাদারীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাদাত হোসেন লিটন এর সঞ্চালনায় উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রাহিমা খাতুন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ সাইফুদ্দীন গিয়াস (ইউ এন ও) মাদারীপুর সদর,জনাব এ্যাড.মোঃ ওবাইদুর রহমান খান (চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ) মাদারীপুর সদর,জনাব মোঃ খালিদ হোসেন ইয়াদ (মেয়র) মাদারীপুর পৌরসভা,এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলার সকল সমবায় কর্মকর্তা-কর্মচারী গন, জেলার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, মাদারীপুর জেলা কর্মকর্তাগন,বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, রেডক্রিসেন্টের প্রতিনিধি, এবং বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক গন জানাযায়, মাদারীপুরে ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২০ উদযাপন অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব শাজাহান খান এমপি, সভাপতি মুক্তিযুদ্ধা বিষায়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্হায়ী কমিটি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ কে প্রধান অতিথি করা হলেও শেষ পর্যন্ত জাতীয় সংসদে অধিবেশন থাকার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। প্রধান অতিথির বক্তব্য ড.রহিমা খাতুন বলেন যে, আমাদের যখন কৃষি মৌসুম থাকে তখন সিজিনাল সবজি যেমন টমেটো, করোলা,মিষ্টি কুমড়া, চিচিঙ্গা, আলু,ইত্যাদি কম মুল্য ক্রয় করে কলেস্টোরে রেখে অফ সিজিনে আমরা অধিক মুল্য বিক্রি করতে পারি।যদি সমবায় সমিতির উদ্যেগে কলেস্টোর নির্মান করা যায়। কলোস্টোর নির্মান করতে বেশি খরচ হয়না তাছাড়া সরকার আপনাদের (সমবায় সমিতি) কে সাহায্য করবে। এতে যেমন দেশের মানুষ পুষ্টি যুক্ত সবজি পাবে তেমনি দেশের সম্পদ নষ্ট হবে না। আবার আমরা সমবায় সমিতির লিঃ উদ্যেগে কৃষকের বাজার “বউ বাজার” করতে পারি যেখানে মহিলারা বিভিন্ন সবজি বিক্রি করবে তাতে মহিলাদের কর্মসংস্হানের ব্যাবস্হা হবে। তিনি আরও বলেন মাদারীপুর জেলার প্রান হচ্ছে বিখ্যাত খেজুরের গুড় ও রস। আমরা জানি দক্ষিণের দান মাদারীপুর খেজুরের রস, খেজুরের গুড় এক সময় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায় লোকেরা মাদারীপুর থেকে খেজুরের গুড় ও রস সংগ্রহ করে নিত। এখনতো মাদারীপুরে খেজুরের গাছ বিলুপ্তর পথে। তাই মাদারীপুরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা দশ হাজার খেজুরের গাছ রোপন করে বানিজ্যিক ভাবে কেমিক্যাল মুক্ত খেজুরের রস ও গুড় উৎপাদন করে বিক্রি করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। যদি সমবায় সমিতির মাধ্যমে এটা করা হয় তাহলে মাদারীপুর বাসী অনেক মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হব। বর্তমানে আমাদের দেশে সরিষা চাষ করা হবে সেখানে মধু চাষ করা যেতে পারে , আবার কালোজিরার মধুর চাষ করা যায় কালোজিরার মধু শরীরের জন্য খুবই উপকারী আর এটা সমবায় সমিতির মাধ্যমে করলে যেমনটা কৃষক লাভবান হবে তেমনি মাদারীপুরের অর্থনৈতিক ব্যাবস্হার ব্যাপক উন্নতি অর্জন করা সম্ভব। সব সময় খেয়াল রাখতে হবে কেমিক্যাল দ্বারা মানুষের শরীরের কোন প্রকার ক্ষতি না হয়। আমাদের একটা পরিকল্পনা থাকতে হবে আর সেই পরিকল্পনা যদি সমবায় সমিতি লিঃ এর মাধ্যমে করা হয় তাহলে মাদারীপুর জেলা কে একটি রোল মোডেল জেলা ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া সম্ভব।