মাদারীপুর জেলা বিএনপি নেতা সাবেক ভিপি মোঃ কাইয়ুম মিয়া আর নেই।
আজ দুপুর ১২ঃ১৫ মিনিটের সময় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেলা বিএনপি নেতা, সাবেক ভিপি মোঃ কাইয়ুম মিয়া ইন্তিকাল করেছেন।ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন। তিনি স্ত্রী ও তিন মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছন। মৃত্যু কালে মরহুমের বয়স হয়েছিলো ৪৮ বছর। তার মৃৃত্যুতে মাদারীপুর জেলাসহ তার নিজ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
উল্লেখ্য যে গত কয়েক দিন আগে তিনি বাসায় ব্রেইন স্ট্রোক করলে তাকে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে তার শরীরের অবস্থা অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। আরো অবনতি হলে পরে আইসিইউতে রেফার করেন। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুর ১২ঃ১৫ ঘটিকার সময় ইন্তেকাল করেন।
তিনি মাদারীপুর জেলা শহরের ২ নং শুকনি রোডের বাসীন্দা তার বাবার নাম মৃত আঃ কাদের মিয়া। মরহুমার তিন মেয়ের মধ্যে বড় দুই জন ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে ও ছোট মেয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনা করেন এবং স্ত্রী খুরশিদা বেগম একজন গৃৃৃৃহিণী।
মরহুম কাইয়ুম মিয়া ছিলেন বিএনপির নিবেদিত প্রান। ৯০ দশকে সৈর শাসক হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সরকার পতনের আন্দোলনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য অন্যতম ছাত্র নেতা, সরকারি নাজিমউদ্দীন কলেজের সাবেক ভিপি,মাদারীপুর জেলা ছাত্র দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম কার্যকারী সদস্য।
মরহুমের মৃত্যুতে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খোন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গন শিক্ষা বিষায়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন,মাদারীপুর জেলা ছাত্র দলের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা বিএনপির ছাত্র বিষায়ক সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন, বর্তমান মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মোঃ জাহান্দার আলী জাহান,যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সাধারণ সম্পাদক ভিপি সরোয়ার হোসেন সহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও এর অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এবং বিভিন্ন সামাজিক, সংস্কৃতিক,ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ভিপি সরোয়ার হোসেন (বার্তা সময় ২৪. কম-bsomoy24.com) কে জানান নামাজে জানাজা শেষে মরহুমকে তার নিজ বাড়ীতেই পারিবারিক কবর স্হানে দাফন করা হবে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত নামাজে জানাজার সময় নির্ধারন করা হয় নাই। তিনি আরো বলেন কাইয়ুম ভাই ছিলেন হাস্যউজ্জল একজন ব্যাক্তি, রাজনৈতিক জীবনে তার কাছ থেকে সব সময় সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি। কখন ও মানুষের সাথে রাখ হননি। তাই আপনারা সবাই মরহুমের জন্য দোয়া করবেন সে যেন ওপারে ভালো থাকেন।