সাংবাদিক সমাবেশে নেতৃবৃন্দ রুহুল আমিন গাজীসহ আটককৃত সাংবাদিকদের মুক্তির দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলনের ঘোষণা
….…..….…………………………………………………………………
দেশে গণতন্ত্র এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্রান্তিকাল চলছে উল্লেখ করে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার পথ সরাসরি রুদ্ধ করেছে। প্রকৃত অপরাধীদের পরিবর্তে ভিন্নমতের সাংবাদিকদের এই আইনে টার্গেট করা হচ্ছে। এই আইন করার পর সাংবাদিক বা সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার পেয়েছেন এমন কোনো নজির নেই। তারা সাংবাদিকদের অবিসংবাদিত নেতা রুহুল আমিন গাজী, সা’দত হোসাইনহ কারাবন্দি সকল সাংবাদিকের মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি জানান।
কারাবন্দি বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এ ভার্চুয়ালি সভার আয়োজন করে। বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে এবং ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালীন নোমানী, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, বিএফইউজের সহসভাপতি রাশিদুল ইসলাম, বিএফইউজের সহকারি মহাসচিব শহীদুল্লাহ মিয়াজী, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন বাহারী, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান, সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক বাচ্চু, ডিইউজের সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত, বাছির জামাল ও রাশেদুল হক, বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশীদ আলম, দপ্তর সম্পাদক তোফায়েল হোসেন, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য এইচ এম আলাউদ্দিন, শামসুদ্দিন হারুন, মো. আবু বকর মিয়া, এ কে এম মহসীন, ডিইউজে নেতা দিদারুল আলম দিদার, খন্দকার আলমগীর হোসেন, ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর, গাজী আনোয়ারুল হক, জেসমিন জুঁই, লাবিন রহমান প্রমুখ।
শওকত মাহমুদ বলেন, আজকে সাংবাদিকদের নির্যাতন করা হচ্ছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। শুধু সাংবাদিকদের নয় সকল ধরনের ভিন্নমত প্রকাশে বাধা দেয়া হচ্ছে। অথচ মত প্রকাশের স্বাধীনতা আল্লাহই দিয়েছেন। সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী ভাইকে শুধুমাত্র ভিন্ন মতের মানুষ হওয়ায় তাকে মিথ্যা মামলা আটকে রাখা হয়েছে। তিনি অসুস্হ কিন্তু তাকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবি জানায়িছেন।
এম আব্দুল্লাহ বলেন, মৃত্যুদন্ডের অপরাধের আসামীকে জামিন দেয়া হয় অসুস্হতার গ্রাউন্ডে। কিন্তু একটি মিথ্যা মামলায় আটক করে রুহুল আমিন গাজী ভাইকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। গাজী ভাই অনেক অসুস্হ। তার জামিন না হলে জীবন বিপন্ন হতে পারে। তাই অবিলম্বে রুহুল আমিন গাজী ও সাদাত হোসেনসহ আটককৃত সকল সাংবাদিককে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, মিথ্যা, ভূয়া ও বানোয়াট মামলা গাজী ভাইকে গ্রেফতার করে প্রায় ১০ মাস ধরে আটক রাখা হয়েছে। সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে ডিজিটাল আইনে। বাক স্বাধীনতা হরণকারী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। বাক স্বাধীনতা রক্ষায় ও সাংবাদিকদের মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নাই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শহিদুল ইসলাম বলেন, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ভাইকে আটকের আজ নয় মাস ২০ দিন। তিনি শারিরীকভাবে অনেক অসুস্হ। অবিলম্বে তার মুক্তি দেয়া প্রয়োজন। অন্যথায় সবাইকে নিয়ে সারাদেশে কর্মসূচী দেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সমাবেশে অংশ নেয়ায় তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানান।