- bartasomoy24.com - https://bartasomoy24.com -

মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসাবে উপহার দিতে চান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম

মাদারীপুর জেলাধীন সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসাবে উপহার দিতে চান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম (আবুল) হাওলাদার । 

মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়ন টি হচ্ছে মাদারীপুর শহর ঘেঁষে এবং পৌরসভা সংলগ্ন ইউনিয়ন। ভৌগোলিক ভাবে মাদারীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব প্বার্শে এবং কালকিনি উপজেলার উত্তর প্রান্তে আলীনগর ইউনিয়ন ঘেঁষে ঝাউদি ইউনিয়নের অবস্থান। স্হল পথে মাদারীপুর শহরে আসার জন্য দুই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের যেমনঃ বাঁশগাড়ি, এনায়েতনগর, আলীনগর, সদরের ঝাউদি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ প্রতি দিন কালকিনি টু কুলপুদ্বি চৌরাস্তা সড়ক টি যাতায়াতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা রাস্তা। যেটা ঝাউদি ইউনিয়নের মাদ্রা গ্রামের উপর দিয়ে তালতলা, কুলপুদ্বি, চৌরাস্তা হয়ে মাদারীপুর শহরের সাথে মিলিত হয়েছে। তাই ঝাউদি ইউনিয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানকার উন্নয়ন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়  ঝাউদি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম (আবুল)হাওলাদার সদা তৎপর।

ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় একান্ত আলাপ চারিতায় তিনি বলেন “সময় কে গুরুত্ব দিয়ে এলাকার জনগনের সেবা দিতে তিনি সর্বদা এলাকায় বসবাস করছেন”। নির্বাচনের পূর্বে তিনি যে ওয়াদা করেছেন তা বাস্তবায়নে কোনো রকম পিছপা হবেন না। বিচক্ষণ, সদালাপী, জাঁদরেল, বার বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান মোঃসিরাজুল ইসলাম (আবুল) হাওলাদার (বার্তাসময়২৪. কম – bsomoy24.com)কে বলেন তিনি জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। দল মত নির্বিশেষে তার কাছে সকলে সমান কে কোন দলের সেটা কোন বিবেচ্য বিষয় নয়। তিনি আরোও বলেন ইউনিয়নের জনগনের মাঝে কোনো ভুল বোঝাবুঝি হলে সামাজিক ভাবে মিটমাট করা হয়। মামলা মকদ্দমা একটি দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবস্হা। ৩০ -৪০ বছরের অধিক সময়ের অমিমাংশিত সামাজিক সমস্যা মিমাংসা করে তিনি এক বিরল দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন।

বিশ্ব জুড়ে মহামারি করোনা ভাইরাসের ছোবল থেকে নিজ ইউনিয়ন বাসীকে বাঁচাতে এবং করোনা সচেতনতায় তিনি মাঠে কাজ করে সাধারন মানুষের মাঝে একটা পরিবর্তন ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। করোনা ঝুঁকি থেকে নিজ ইউনিয়নের জনগনের মুখে হাসি ফোটাতে সরকারী সাহায্যর পাশাপাশি তিনি ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে ও নিত্যপ্রয়োজনীয়, খাদ্য সামগ্রী বিতারন করেন।

তিনি শুধু ইউনিয়নের রুপকারই নয়।সমগ্র মাদারীপুর জেলায় তার সুনাম রয়েছে ন্যায় নীতির উপর থেকে সঠিক ভাবে বিচার কাজ (সালিসি) সম্পাদন করার জন্য। তিনি বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানজিং কমিটিতে রয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কালকিনি উপজেলার ঐতিহ্যেবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কালীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা ম্যানেজিং কমিটির পর পর তিন বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত সভাপতি, হোগোলপাতিয়া জামে মসজিদ, মাদ্রা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের।

চেয়ারম্যান দাবী করে(বার্তাসময়২৪. কম – bsomoy24.com)কে বলেন আমি নির্বাচিত হওয়ার পর ঝাউদি ইউনিয়নে যে উন্নয়ন হয়েছে বিগত ৪০ (চল্লিশ) বছরে ও সেই উন্নয়ন হয় নাই। উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে গভীর নলকূপ স্হাপন, রাস্তাঘাট, কালভার্ট-বাড়িঘর, মসজিদ – মাদ্রাসা, ও স্কুল সহ সামাজিক প্রতিষ্ঠান নির্মান ও সংস্করণে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ, ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি, বাল্যবিবাহ বন্ধ সহ সামাজিক উন্নয়নে কাজ করেছি। আগে অত্র ইউনিয়নে মারা মারি লেগেই থাকত সেটা উত্তরনে কাজ করেছি বলে আজ ঝাউদি ইউনিয়ন বাসী সুখে শান্তিতে বাড়ী ঘরে বসবাস করতে পারছে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন এক শ্রেণির লোক আছে যারা আমার ইউনিয়নের উন্নয়নে ঈর্ষানিত হয়ে আমার সামাজিক মর্যদা ক্ষুন্ন করার অপপ্রায়াস চালাচ্ছে।যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করছে।  এগুলোকে আমি ভয় করিনা কারণ আল্লাহ এবং জনগন আমার সাথে আছেন। জনগনেই আমার একমাত্র ভরসা তারাই সকল মিথ্যা,ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে ইনশাআল্লাহ। সর্বোপরি এই ঝাউদি ইউনিয়নকে  একটি মডেল ইউনিয়ন হিসাবে উপহার দিতে চাই এজন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি । তিনি বলেন জনগন আমাকে বার বার বিপুল ভোটের মাধ্যমে বিজয় করেছেন। তাই আগামীতে ও যতদিন পৃথিবীতে বাঁচব জনগনের সেবা করে যেতে যাই।